ধর্ষণ প্রবনতা বৃদ্ধির কারন এবং প্রতিকার - Suo Moto

Breaking

Wednesday, October 7, 2020

ধর্ষণ প্রবনতা বৃদ্ধির কারন এবং প্রতিকার




ইদানিং বাংলাদেশে ধর্ষণ প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ধর্ষণের হার।এর মানে এই নয় পূর্বে ধর্ষণের হার কম ছিল।বরং, পূর্বের তুলনায় মিডিয়া কাভারেজ বেশি পাবার দরুন আমাদের এমন মনে হচ্ছে।মূল বিষয়টা হলো পূর্বে ধর্ষণের খবর গুলো জনগণের সামনে আসতো কম।


মানুষ জানতো আরো কম।যতটুকু পত্রিকায় আসতো মানুষ ততটুকুই জানতো।পত্রিকা তাদের মতো মনগড়া রিপোর্ট লিখে দায় সারা কাজ করতো।এখন আসি ধর্ষণ এত বেড়ে যাবার কারন কি? কেন ধর্ষণ প্রবণতা লাগামহীন মাত্রা পেল? উল্লেখযোগ্য একটা কারন হলো বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং মামলার দীর্ঘসূত্রিতা। দীর্ঘদীন ধরেই বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে সেই সাথে মামলাজটের কারনে ভুক্তভোগীরা বিচার পাচ্ছেন না।সেই সাথে আছে প্রভাবশালীদের দাপট।বলাচলে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একরকম ধর্ষণ সহ সমস্ত অপরাধের চর্চা হচ্ছে।যেহেতু, দেশে আইনের শাসন নাই সুতরাং, আইন আদালত প্রভাবশালীদের কিছুই করতে পারছেনা।ফলে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে এবং দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে।পরবর্তী যে কারনে ধর্ষণের মত অপরাধ প্রবণতা  বেড়ে যাচ্ছে তা হলো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারা।কেবল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে ধর্ষণের মত অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে।কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে ঠিকিই অপরাধীরা বিচারের হাত থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে নিচ্ছেন। ধর্ষণের মত অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাবার আরো একটি উল্লেখযোগ্য  কারন হলো রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। অনেক সময় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে অপরাধীরা অপরাধ করে থাকেন এবং খুব সহজেই রাজনৈতিক কারনে তারা আইনের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যান।ফলশ্রুতিতে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে চলছে এবং ধর্ষণের মত অপরাধ করতেও তারা পিছপা হচ্ছেন না।তাহলে আমাদের বাঁচার উপায় কি? বাঁচার উপায় হলো প্রথমত, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।যাতেকরে সমস্ত অপরাধের বিচার হয়।দ্বিতীয়ত,মামলাজট কমাতে হবে কিংবা বিকল্প ভাবতে হবে।যেমন দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন করা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির বিধান সহ নতুন আইন পাস করা অথবা চলমান আইন সংশোধন কল্পে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির বিধান করা।অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করা যাতে করে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করার সাহস কেউ না দেখায়।সর্বপরি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় যেন কেউ অপরাধ করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দেয়া। তাহলেই আশা করা যায় ধর্ষণ সহ ধর্ষনের মতো অন্যান্য অপরাধপ্রবণতাও অনেকাংশেই কমে আসবে।একটা সুস্থ সমাজ বিনির্মানের পথে দেশ ও জাতি আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

No comments:

Post a Comment